সোমবার, ৩০ আগস্ট, ২০১০

হ্যলুসিনেসান,ইলিউসান এন্ড ডিলিউসান….

কিছুদিন আগেই সাইকিয়াট্রি ওয়ার্ড শেষ হল। মনোজগতের কিছু অস্বাভাবিকতার সাথে পরিচিত হলাম। অনেক কেইস হিস্ট্রি রেকর্ড করলাম, হিস্ট্রি নিয়ে স্যারের সাথে অনেক ডিসকাশনও হল। প্রতিটা হিস্ট্রির পিছনে যে গভীর প্রভাববিস্তারকারী ফ্যক্টর আছে সেগুলো নিয়ে স্যার ডিপলি লেকচার দিলেন। মেডিক্যাল লাইফে এই প্রথম আমি কিছু ব্যাপার খুব আগ্রহ ও চরম উদ্দ্যম নিয়ে স্টাডি করলাম। আসলে মেডিসিন/সার্জারি ওয়ার্ড যখন করতাম তখন এটা মনে করতাম যে মেডিক্যালে যখন পড়তেছি তখনতো এসব করতেই হবে।এটলিস্ট পরীক্ষা হবে, পাশ করতে হবে এসব চিন্তা করেই পড়াশুনা। কিন্তু সাইকিয়াট্রি ওয়ার্ডে আমি নিজেকে ভিন্নভাবে ফিল করলাম।
সাইকোলজি আর সাইকিয়াট্রির মধ্যে যে বেসিক পার্থক্য আমি বুঝলাম তা হল সাইকোলজি ডিল করে মানুষের স্বাভাবিক ব্যবহার ও তার সমস্যার পরিব্যাপ্তি নিয়ে যা কাউন্সিলিং এর গুরুত্ব প্রমোট করে। আর সাইকিয়াট্রি ডিল করে মানুষের অস্বাভাবিক ব্যবহারের জটিলতা নিয়ে যা অবশ্যই মেডিকেশানের সাথে রিলেইটেড।
মন অদ্ভুত এক ব্যাপার। ব্রেইনে যেখানে মন নামক  সেন্টার টা আছে তার প্রকৃতি খুব আজব। মনকে রেগুলেট করা, কন্ট্রোল করা সবকিছুই অনেক জটিল এক প্রসেস। একেকজনের ক্ষেত্রে এই রেগুলেটিং সিস্টেম আলাদা। কথায় বলে নানা মুনির নানা মত। ছেলেবেলা থেকে যেভাবে গড়ে তোলা হয় আমাদের মনও সেদিকেই ধাবিত হয়।
সাইকিয়াট্রি ওয়ার্ডে বেশিরভাগ রোগীর সমস্যা শুরু হয় অত্যধিক ধার্মিকতা দিয়ে। তাদের হিস্ট্রি নিয়ে জানা যায় যে তারা কোন পীর/হুজুর/মাজার এ যেত। গায়েবী কিছু এডভাইস অনুযায়ী তারা কাজ করত। নিজে খুব বেশি ধার্মিক না হলেও এটলিস্ট ইসলামকে বুঝে পালন করার ট্রাই করি। তাই যতবারই হিস্ট্রি নিতে যাই ততবারই কিছুটা বিব্রত ফিল করি। ইসলাম ধর্ম অত্যধিক পালন করতে গিয়ে কেউ সাইকো হয়ে যাবে এই ব্যাপারটা খুব বিব্রতকর। আমি যতবার হিস্ট্রি নেই ততবার একজায়গায় প্রশ্ন করে থেমে যায় যে তারা কেন অমুক পীর/হুজুরকে অন্ধভাবে বিশ্বাস করে? ইসলামে কোথাওতো লেখা নাই যে ধর্মীয় আনুগত্য ও ভালবাসার একটা ধাপ হল পীর/হুজুরকে ভালবাসা, তাদের ইললজিক্যাল কথা মনে প্রাণে বিশ্বাস করা!
হ্যলুসিনেসান,ইলিউসান,ডিলিউসান যেভাবে হয়…একটু নিজের মত ব্যখ্যা করি।
ইসলাম ধর্মে বেসিক সাতটি বিষয় মনে প্রাণে বিশ্বাস করে বাকি জীবনের সমগ্র বিষয় যুক্তি দিয়ে জাস্টিফাই করতে হবে। আমি ইসলাম কে নিয়ে শুধু এটুক্লুই বুঝি যে ঈমানের সাতটি বিষয় ব্যতিরেকে বাকি সব কিছু অত্যধিক স্ট্রং লজিক দিয়ে নিজের লাইফে ইম্পলিমেন্ট করতে হবে।
হুমায়ুন আহমেদের আত্বজীবনীমূলক একটা লেখা পড়েছিলাম। সেখানে লেখক এক অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিতে গিয়ে কমেন্ট করেছিলেন যে, গ্রামের মানুষ যা বিশ্বাসযোগ্য নয় তা  খুব সহজেই বিশ্বাস করে। আর যেসব ব্যাপার খুব লজিক্যাল সেগুলো নিয়ে তাদের  মাথা ব্যথার শেষ নাই। আচ্ছা যে ঘটনার প্রেক্ষিতে লেখক এই কমেন্ট করেছিলেন ঘটনাটা একটু সংক্ষেপে বলি।
এক ছেলে যে খুব চুরি করে। যেখানেই যায় সেখান থেকেই কিছু না কিছু চুরি করে। সে কারো সাথে খুব একটা কথাও বলেনা। একাকি বসবাস করে। তাকে নিয়ে প্রায়ই সময় গ্রামে শালিস বসে। অভিযোগ একটাই সে চুরি করে। তার এই চুরির স্বভাবের জন্য কোন মানুষ তার সাথে ঠিকভাবে কথাও বলেনা। লেখকের সাথে পরিচয় হল ছেলেটার। লেখক তার সাথে অনেক ভালভাবে ব্যবহার করলেন, কিন্তু যাবার আগে লোকটা লেখকের কলম চুরি করে নিয়ে যায়। পরে তার এই চুরি করা কলম গ্রামের কেউ একজন দেখে ফেললাম তুলকালাম কান্ড ঘটিয়ে দেয়। চুরির সাক্ষী হিসাবে লেখককে উপস্থিত করানো হলে লেখক বলে যে কলমটা সে তাকে গিফট করেছে। এটা বলার কারণ ছিল লেখত ইতোমধ্যেই ছেলেটার একটা হিস্ট্রি নিয়ে ফেলেছে। হিস্ট্রিটা ছিল এরকম…একবার ছেলেটার খুব অসুখ হয়। এতটাই মারাত্বক যে একসময় সে সেন্স হারিয়ে ফেলে এরপর আর সেন্স ফিরে আসেনি। সবাই তাকে মৃত ভেবে কবরে রেখে আসে। এরপর ছেলেটার বোন দেখতে আসলে বলে যে তার মন বলছে যে তাই ভাই বেচে আছে তাই কবর থেকে তাকে তুলা হোক। সত্যিই তাকে কবর থেকে তুলে আনা হলে দেখা যায় সে বেচে আছে। কিন্তু সে অনেক মেন্টালি আস্বাভাবিক ছিল। এরপর থেকেই সে চুপ হয়ে যায়, কারো সাথে সেরকম মিশেনা। আর কোথাও গেলেই কিছু না কিছু চুরি করে।
এরকম একটা আস্বাভাবিক ঘটনা গ্রামের সবাই খুব স্বাভাবিক ভাবেই নিয়েছে। কারণ তাদের ধারনা ছেলেটা আসলেই মরে গিয়েছিল পরে আল্লাহর কুদরতে সে আবার বেচে গিয়েছে। কিন্তু একটা ছেলের জীবনে এত বড় একটা ঘটনা ঘটে গেল, তার মানসিক যে বড়রকম এক পরিবর্তন আসল, তার ব্যবহার অস্বাভাবিক হয়ে গেল এসব তারা কোন আমলে না দিয়ে তারা সামান্য চুরির ব্যাপার নিয়ে তুলকালাম কান্ড ঘটিয়ে দেয়।
বাঙ্গালিকে যত সহজে ধর্ম দিয়ে ইললজিক্যালি বাইয়াসড করা যায় তা মনে হয় হাজার নিউটন/আইন্সটাইন তাদের লজিক দিয়ে বাইয়াসড করতে পারবেনা। ছেলেবেলা থেকেই কেন যেন ইসলাম কে যুক্তি দিয়ে না বুঝিয়ে অলৌকিক কিছু অদ্ভুত ব্যপার স্যাপার দিয়ে বুঝানো হয়। শুধু যে বুঝানো হয় তা নয়, সেটা মানতে বাধ্য করা হয়। একসময় এভাবেই অভ্যস্ত হয়ে যায় আমরা। ফলে কোন অলৌকিক, আস্বাভাবিক খুব সহজেই বিশ্বাস করতে পারি। যেহেতু ছেলেবেলা থেকেই শুনে এসেছি যে বিশ্বাসই মূল জিনিস! গায়েবী আওয়াজ বিশ্বাস করি, পীর/হুজুরের ম্যজিক্যাল স্বপ্নে পাওয়া চিকিৎসাকে অমোঘ বিধান মনে করি। হ্যালুসিনাশান, ইলিউশান মনে হয় এভাবেই তৈরি হয়।
১৫বছরের এক কিশোরি মেয়ের হিস্ট্রি নিচ্ছিলাম। খুব ভাল পড়াশুনায় সে। চলাফেরা স্বাভাবিক আর আট-দশটা মেয়ের মতই। একদিন হঠাৎ সে এক নিকটস্থ পীরের কাছে যায়, পীরের উপদেশ অনুযায়ী সে কঠিন পর্দা শুরু করে। হাত/পা মোজা থেকে শুরু করে শুধুমাত্র চোখ ছাড়া তার আর কিছুই দেখা যায়না। পীর তাকে আরো উপদেশ দিয়েছিল মেয়েদের জন্য পড়াশুনা নাকি ইসলামে পারমিট করেনাই। তাই সে পড়াশুনায় আর উদ্যম পায়না। পীর তাকে বলেছিল য বেশি বেশি তওবা করতে, বেশি বেশি দুনিয়াবি কাজ বাদ দিয়ে নামাজ-রোজা করতে। এভাবেই মেয়েটি একসময় গায়েবি আওয়াজ শুনতে পায়। ফেরেশতারা নাকি তাকে কি কি সব করতে বলে। পরে ধীরে ধীরে পুরা সাইকো হয়ে যায়। তার ব্যবহার, আচার-আচরন সব কিছু আস্বাভাবিক। মেডিকেশান দিয়ে স্ট্যাবল রাখতে হয়। হিস্ট্রি নিতে গিয়ে আমি ভাবলাম ধর্মকে ইউজ করে যেভাবে মানুষের স্বাভাবিক জীবনকে আস্বাভাবিক করে তোলা হচ্ছে এব্যাপারে আমাদের পজিশান কোথায়? মিডিয়াতে হিল্লা বিবাহ, দোররা মারা, পর্দা, স্বামী কতৃক স্ত্রীকে পিটানোর যে ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরে ইসলামকে ফোকাস করা হয় সেটা কি আদৌ সঠিক ইসলাম?
ইসলামিক হিস্ট্রি যত পড়ি, নবী-রাসূলদের দাওয়াহ পদ্ধতি যত পড়ি তত আমি মুগ্ধ হই। মানুষের সাইকোলজি বুঝে ভাল জিনিস প্রেসেন্ট করে দাওয়াহ পদ্ধতি বর্তমান সময়ে কেমন এপ্লাই হয় সেব্যাপারে আমি সন্দিহান। মক্কাতে যখন ইসলাম আবির্ভুত হয় তখন মানুষ অলরেডি প্রভুর ব্যাপারে কিছু নলেজ ছিল। তারা জানত যে তাদের একজন প্রভু আছে যার ইবাদাত করা তাদের দায়িত্ব। আমাদের নবীজি(সাঃ) যখন আসলেন তখন তিনি তাওহীদ নিয়ে সর্বপ্রথম দাওয়াহ দিলেন। কারণ তাওহিদের একাত্বতা ঘোষণা ব্যতিত বেসিক ইসলামে প্রবেশ করা যাবেনা। তাওহীদের মূল কথা মূলতঃ ৩টি। আল্লাহর সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস অর্থাৎ এই বিশ্বের একমাত্র শাসন কর্তা তিনি, আল্লহর সমস্ত গুনাবলি ও প্রসংশা শুধুমাত্র তার জন্যই প্রযোজ্য তার বান্দার জন্য না, আর ইবাদাতের যোগ্যতা কেবল আল্লাহর। এই তিনটা জিনিস বুঝতে পারলে বেসিক ইসলামে বুঝতে খুব অসুবিধা হয়না। কারণ এখানেই নিহিত রয়েছে যে এই পৃথিবীতে যা কিছু ঘটে তার ফলাফল আল্লাহর পক্ষ থেকেই আসে, সবকিছু করার মালিক একমাত্র তিনি, বান্দা এবং আল্লাহর ইবাদাতের মাঝখানে কোন মিডিয়া নেই, কেউ তার সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপ করতে পারবেনা। সো দ্যাট কোন পীর/হুজুর/তাবিজের কেরামতিতে যে কিছুই হবেনা তা শুধুমাত্র এই তাওহীদের কনসেপ্টেই বুঝা যায়।
কিন্তু ইসলাম আরব থেকে যখন বহির্বিশ্বে ছড়িয়ে গিয়েছে তখনই সমস্যাটা হয়েছে। কারণ মক্কার মানুষ তাওহীদের কনসেপ্ট বুঝে ইসলাম গ্রহন/ত্যগ করেছিল। কিন্তু বর্তমানে মানুষ তাওহীদের কনসেপ্ট না বুঝেই ইসলাম কে মনে প্রানে ভালবেসে বহুরকম নিজের অজান্তেই শিরকে লিপ্ত আছে। বলা যায় ইসলামবিহীন মুসলিম জাতি আমরা। তাই এখানে ইসলামকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য সংগ্রাম করতে হচ্ছে। খুব আজব ব্যাপার এটা। কারণ যেখানে ৮০% মুসলমান সেখানে কেউ আমরা ইসলামের মেইন ডিমান্ড বুঝিনা, একচুয়াল ইসলাম কি চায় আমাদের কাছে সেটা বুঝিনা।
ইসলামি দাওয়াহর কনসেপ্ট কখনও জোর করে কাউকে চাপানো হয়নি। যখন মেজোরিটি ইসলাম কে বুঝে গ্রহন করেছে, ইসলামের রুলের সাথে একাত্বতা ঘোষণা করেছে তখনই ইসলামের রুল খুব স্ট্রিকটলি পালিত হয়েছে রাষ্ট্রীয়ভাবে। কিন্তু যেখানে আমরা তাওহীদের মত মেজর কনসেপটই মানুষকে বুঝাতে পারিনি সেখানে ইসলামি ড্রেস কোড, দাড়ি রাখা/না রাখা এসব মাইনর ব্যাপার যদি কাউকে পালন করতে বাধ্য করানো হয় তাহলে ব্যাপারটা কি দাঁড়াবে?
ইসলাম সবসময় মানবতার কথা বলে, ইসলামে চিন্তার স্বাধীনতার সুযোগ আছে বলেই জেনে বুঝে ইসলামর বেসিক ডিমান্ড বুঝে, লাইফের কম্পলিট কোড এর প্রসেস কেন এরকম হল সেব্যাপারে রিসার্চ করে, লজিক্যালি ইসলামকে নিজের লাইফে ইম্পলিমেন্ট করতে হয়। এখানে হ্যালুসিনেসান, ইলিউসানের আশ্রয় নেবার  কোন সুযোগ নায়।
মানুষের সাইকোলজির ন্যনোমিটার বুঝে দাওয়াহ না দিলে ইসলাম কে খুব কঠিন ও কট্টর মনে হবে। আচ্ছা যে বুঝেইনা ইসলাম ভাল কেন, যে জানেইনা ইসলামে এরকম ড্রেস কোড কেন দেওয়া হল, তাকে যদি আমি সেটা করতে বাধ্য করি হোক সেটা  ১০০% ভাল তাহলে কি সে এটা করবে? এটলিস্ট আমাকে কেউ জোরপূর্বক কিছু করাতে বাধ্য করলে তা হাজার ভাল হলেও আমি তার কথামত সেটা করবনা। আগে নিজেকে বুঝতে হবে যে সেটা আসলেই ভাল তারপর করব, কারো জোরপূর্বক ইনফ্লুয়েন্সে না।
কেন জানিনা ইসলাম পন্থী আমরা যারা আছি তারা সব কিছু অন্যের উপর চাপিয়ে দিতে চাই। ব্যাপারটা আমার কাছে অনেকটা এরকম লাগে যে, যে ক্লাস ওয়ানই পড়েনি তাকে ক্লাস এইটের জিনিস জোরপূর্বক বুঝানোর কঠোর ট্রাই করতেছি। শুধু তাই না, সে ক্লাস এইটের জিনিস কেন বুঝবেনা ও মানবেনা সেটা নিয়েও গভীর এনালাইসিস করি। ফলে হাজার হাজার বছর পূর্বে নবী-রাসূলরা সবাই একটা ইউনিট ছিল। কারণ তাদের সবাই বেসিক্যালি মানুষকে ইসলামের কন্সেপ্ট ক্লিয়ার করাতেই ব্যস্ত ছিল। পরবর্তিতে ধীরে ধীরে ইসলামের অন্যান্য লাইফ রিলেটেড ব্যাপারে তারা মানুষকে এডুকেইট করেছে। আর আমরা বেসিক জিনিস বাদে অন্যান্য ব্যাপারে চর্চা করতেই ব্যস্ত। ফলে ইসলামের বহু শাখা-প্রশাখা বেরিয়েছে।ফলে আমরা  একই ইউনিটে অবস্থান করছিনা। যদিও মনে প্রাণে  ইসলামকে ভালবাসি সবাই…
সবশেষে শুধু এটুকুই বলব, যে ইসলাম  হিউম্যানিটির কথা বলে সেই ইসলাম কখনও স্বৈরাচার মূলকভাবে কোন কিছু মানুষকে চাপাতে দেয়না। আর তাই যদি হত তাহলে আল্লাহ নিজেই ফেরেশতা দিয়ে এই পৃথিবীতে সবকিছু করতে মানুষকে বাধ্য করাত। তাই মানব সাইকোলজির ন্যনোমিটার বুঝে ইসলাম কে প্রতিষ্ঠা করা যতটা সহজ ভাবা হয় আসলে ততটা না। তা না হলে নবী-রাসূলদের জীবনে এত দুঃখ-কষ্ট আসতনা যদিও তারা ছিলেন আল্লহর মনোনিত ব্যক্তি। তারা ইচ্ছা করলেই পারতেন ইসলামের রুল কে মানুষের উপর চাপিয়ে দিতে, ইচ্ছা করলেই পারতেন তাদের প্রতি আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহের পাওয়ারে মানুষকে কিছু করাতে বাধ্য করতে। কিন্তু তারা সেটা করেননি। তারা ইসলাম কে তুলে ধরেছেন লাইফের সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য ধর্ম হিসাবে, তারা প্র্যাক্টিক্যালি  প্রুফ করেছেন যে ইসলামই একমাত্র জীবন ব্যবস্থা। যেহেতু ইসলামের বিজয় অবশ্যম্ভাবি তাই নিশ্চয় আমাদের ততদিন পর্যন্ত ওয়েট করতে হবে যতদিন পর্যন্ত আমরা ইসলামকে স্বৈরাচারি হিসাবে না বরং একমাত্র গ্রহনযোগ্য লাইফ স্টাইল হিসাবে প্রুফ করতে না পারি…